নাইফ অ্যাঞ্জেল (ছুরির দেবদূত)

নাইফ অ্যাঞ্জেল (ছুরির দেবদূত)

অ্যাঞ্জেল বা দেবদূতের ভাস্কর্যের কমতি নেই পৃথিবীতে। বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্মিত হয়েছে ডানাওয়ালা দেবদূতের অসংখ্য ভাস্কর্য। গীর্জা, রাজপ্রাসাদ এবং মিউজিয়ামে রক্ষিত এসব ভাস্কর্যের অনেকগুলোই জগৎখ্যাত। এইসব ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে পাথর, কংক্রিট, লোহা, তামা কিংবা সোন-রূপো দিয়ে। কিন্তু এই ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র লন্ডনে এবার নির্মিত হয়েছে ২৬ ফুট উচ্চতার ছুরির তৈরি দেবদূতের ভাস্কর্য। ভাস্কর আলফি রাডলি এর নাম দিয়েছেন ‌’নাইফ অ্যাঞ্জেল।’ টানা দুই বছর চেষ্টা করে এই নাইফ অ্যাঞ্জেল তৈরি করতে তার প্রয়োজন হয়েছে ১ লক্ষ ছুরি।

কিন্তু রাডলি কেন ছুরি দিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের চিন্তা করলেন? কারণ লন্ডনের সাম্প্রতিক ছুরি কেন্দ্রিক সহিংসতা। বিগত কয়েক বছরে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ ছুরির আঘাতে হতাহত হয়েছেন অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষ। এই ছুরি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই আলফি রাডলির প্রতিবাদ। তিনি এর মাধ্যমে জনসচেতনতাও তৈরি করতে চান।

 

 

 

 

এতগুলো ছুরি কোথায় পেলেন রাডলি? না, ১ লক্ষ ছুরি পাউন্ড খরচ করে কিনতে হয়নি তাকে। এগুলো তাকে দান করেছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এর বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনের পুলিশ সদস্যরা। ভাস্কর্য তৈরিতে রাডলি যে ছুরিগুলো ব্যবহার করেছেন তার অধিকাংশই ব্যবহৃত হয়েছিল কোন না কোন সংহিস কর্মকান্ডে। তবে ভাস্কর্যে ব্যবহারের আগে আলফি রাডলি ছুরিগুলোকে ঘষে নিরাপদ করে নিয়েছেন যাতে তার ভাস্কর্যের দ্বারা কেউ আহত না হন।

 

 

 


লন্ডন জুড়ে ছুরি সন্ত্রাসের স্বীকৃতি আদায় ও এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে ২৬ ফুট উঁচু এই ‘নাইফ অ্যাঞ্জেল’-কে লন্ডনের ট্রফলগার স্কয়ারে স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন রাডলি। নাইফ অ্যাঞ্জেলের পাদদেশে তিনি লিখেছেন, ‘লন্ডন নিডস হেল্প।’

 

মন্তব্য করুণ [Comment]